ফজলুর রহমান বাবু। একাধারে তিনি অভিনেতা ও গায়ক। তবে নিজেকে তিনি অভিনেতা পরিচয় দিতেই বেশি স্বস্তিবোধ করেন। আজ এই তারকার জন্মদিন। ১৯৬০ সালের আজকের এই দিনে তিনি ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলার বেশিরভাগ সময় তার ফরিদপুরেই কেটেছে।
১৯৭৮ সালে ফরিদপুরের ‘টাউন থিয়েটার’ দিয়ে তার অভিনয়ের সঙ্গে সখ্যতা। পরবর্তিতে ‘বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠী’তে যোগদানের মধ্য দিয়ে তিনি তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। ওই একই বছরে বাবু প্রথমবারের মত ‘ন্যাশনাল ড্রামা ফেস্টিভাল’-এ অভিনয় করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে তিনি অগ্রণী ব্যাংক এ চাকরি নেন এবং ঢাকায় বদলি হয়ে চলে আসেন।
ঢাকায় এসে তিনি ‘আরন্যক’ নাট্যদলে যোগ দেন। এই থিয়েটারে তিনি বেশ কিছু মঞ্চ নাটক করে প্রশংসিত হন। যেমন- পালা, পাথর, ময়ূর সিংহাসন।
১৯৯১ সালে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ হয় তার। কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘মৃত্যু ক্ষুধা’ নাটক দিয়ে, যা বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল। এরপর থেকে আজ অবধি টিভি নাটকে একজন চরিত্রাভিনেতা হিসেবে বেশ দাপটের সঙ্গেই অভিনয় করে চলেছেন তিনি।তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হল- পাঞ্জাবীওয়ালা, ৫১’বর্তী, ৬৯, দৈনিক তোলপাড়, রঙের মানুষ, ঘরকুটুম, ব্যস্ত ডাক্তার, ঘটক পাখিভাই, হাটকুড়া প্রভৃতি।
ফজলুর রাহমান বাবুর অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে দারুচিনি দ্বীপ, মনপুরা, বিহঙ্গ, স্বপ্ন ডানায়, বৃত্তের বাইরে, শঙ্খনাদ, মেড ইন বাংলাদেশ, অজ্ঞাতনামা, ঢাকা ড্রিমস ইত্যাদি। ২০০৪ সালে ফজলুর রাহমান বাবু ‘শঙ্খনাদ’ ছায়াছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। এ ছাড়াও তিনি একাধিকবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ডায়মন্ড-আরটিভি স্টার পুরস্কার, পদ্ম পুরস্কার এবং বাচসাস (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি) পুরস্কার পেয়েছেন।
মনপুরা সিনেমাতে একটি গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাবু তার আরো একটি প্রতিভার জানান দেন। তিনি তার প্রথম একক মিউজিক অ্যালবাম ‘ডুবাডুবি’ বের করেন ২০০৯ সালে। এছাড়াও ২০০৮ সালে ‘মনচোরা’ নামক একটি মিক্সড অ্যালবামে তিনি চারটি গান গেয়েছেন। ‘কৃষ্ণকুমারী’ তার অপর একটি মিক্সড অ্যালবাম।