মিমি চক্রবর্তী। টালিগঞ্জের এই অভিনেত্রী শোবিজে ব্যস্ততার পাশাপাশি সামাজিক কাজেও পিছিয়ে নেই। কলকাতার যাদবপুর কেন্দ্রের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সঙ্গে করোনার টিকা নিয়েছেন । পাশাপাশি দুঃস্থদের জন্যও টিকাকরণের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন এই তারকা।
মঙ্গলবার (২২ জুন) একটি টিকাদান ক্যাম্পে প্রথম ডোজ নেনে মিমি। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন কলকাতা পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই টিকাকরণ করছে ক্যাম্পটি। এরপর এই অভিযোগে এক ভুয়া সরকারি অফিসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মিমি জানান, ওই টিকাদান ক্যাম্পের আয়োজক দেবাঞ্জন দেব। তিনি নিজেকে আইএস অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় তিনি এবং ক্যাম্পের কার্যক্রম সবই ভুয়া। অভিনেত্রী বলেন, ‘ওখানে আমি নিজে টিকা নিই। কিন্তু তারপর থেকেই ফোনে কোনো মেসেজ না আসায় আমার খটকা লাগে। সার্টিফিকেট চাইলেও ওরা জানায় বাড়িতে পৌঁছে যাবে কিন্তু আসেনি। পরে অফিসের লোক গিয়ে খোঁজ করায় বলে, তিন-চারদিন সময় লাগবে। এরপরই বুঝি নিশ্চয় বিষয়টার মধ্যে অন্য কোনও ব্যাপার আছে। ’
এরপর মিমি নিজে ওই ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়া অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তারাও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসে। এর আগে টিকা দেওয়া নিয়ে মিমি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের কোভিড টিকা দেওয়া হবে। অনেকেই এরকম রয়েছেন, যারা বার্ধক্যজনিত নানা কারণে জর্জরিত হওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। এছাড়া এমনও বয়স্করা আছেন বাড়িতে যাদের সেরকম কেউ নেই। তাদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিমির অভিযোগ খতিয়ে দেখে দেবাঞ্জন দেব নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পৌরসভার নাম ভাঙিয়ে টিকাকরণ ক্যাম্প চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ব্যবহার করা হচ্ছে কেএমসির লোগো ব্যবহৃত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। উদ্ধার করা হয়েছে একটি জাল কার্ডও। ওই কার্ডে কলকাতা পৌর কমিশনার বিনোদ কুমারের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ।