বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন চিত্রনায়ক জায়েদ খানের শপথ গ্রহণ অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন ।
এমন ঘোষণা দিয়ে তার করা মিটিংও বাতিল বলে দাবি করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। আজ সোমবার (৭ মার্চ) এফডিসিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতা আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জায়েদ খান কোর্টের ‘ভুয়া কাগজ’ দেখিয়ে শপথ গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাকে ধোঁকা দিয়েছেন। মিডিয়ার সঙ্গেও ছলনা করেছেন। তাই তার শপথ গ্রহণ আমি অবৈধ ঘোষণা করলাম।”
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গত শুক্রবার এই জায়গাতেই জায়েদ সাহেব আপনাদের একটা সার্টিফায়েড কপি দিয়েছিলেন।
আমিই বলেছিলাম, আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি না পেলে উনাকে শপথ পড়াব না। উনি ওটা জোগাড় করেছেন এবং আপনাদের কাছে শো করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানসহ আরো চারজনকে শপথ পড়িয়েছি। ‘

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শপথের আগে জায়েদ তার ল ফার্মের একটা সত্যায়িত চিঠি দেখিয়েছিলেন। জায়েদকে কাঞ্চন বলেন, ল ফার্মের কপি দিয়ে শপথ পড়াবেন না। আদালতের সত্যায়িত কপি দিতে হবে। এটা দুই-তিন দিন আগের ঘটনা। তারপরে যেদিন শপথ নিলেন সেদিন কাঞ্চনকে কপি শো করলেন। শপথ নেওয়ার পর জায়েদ মিটিংয়েও বসেছেন। সেদিন সাতজন ছিলেন মিটিংয়ে।
ইলিয়াস কাঞ্চন আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড ফটোকপি চেয়েছিলেন জায়েদের কাছে ৷ জায়েদ বললেন, ‘হ্যাঁ ভাই, দিচ্ছি। ‘ কিন্তু মিটিং করার পরে জায়েদ আর ফটোকপি দিলেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। নামাজ শেষে ফোন করে বললাম তুমি ফটোকপি দিচ্ছ না কেন? সে বলল, ভাই আজকে তো শুক্রবার, ফটোকপি তো করাতে পারছি না, শনিবার সকালে পাঠিয়ে দেব। আমি বললাম মিস করবা না তো? সে বলল, না ৷ শনিবার সকাল গড়িয়ে বিকেলে জায়েদকে ফোন দিলাম, সে ধরল না। রবিবার ৮টার দিকে সে ফোন দিল। আমি তখন নারিন্দায় একটা দাওয়াত খেতে গিয়েছি। অনুষ্ঠানে অনেক লোক, এ জন্য ফোন ধরি নাই। পরে তখন আমার কাছে অনেক বড় তথ্য এসে গেছে, আমি আর ফোন ব্যাক করি নাই। আজকে সে আমার অফিসে দুইজন ল ইয়ারসহ এলো। আমি ফটোকপি চাইলাম, তখনো সে ফটোকপি নিয়ে আসেনি ৷ বের হয়ে গিয়ে পরে পাঠিয়ে দিল। কিন্তু যেটা পাঠাল সেটা গত ৯ ফেব্রুয়ারি যে রায় হয়েছিল সেটার কপি। ‘
মূলত জায়েদ খান ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে যে রায় দিয়েছিল, সেটার সার্টিফায়েড কপি দেয় নাই। জায়েদ খান ছলনার আশ্রয় নিয়েছে। যেহেতু সে ছলনার আশ্রয় নিয়েছে সেহেতু জায়েদের শপথ বৈধ নয়। ‘