জমে উঠেছে আগামী ১৯ মার্চের টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এর নির্বাচন । আজ সন্ধ্যায় হোটেল ওয়েস্টিনে হয়ে গেলো মনোয়ার পাঠান এবং সাজু মুনতাসির সমমনা ২৭ জন প্রার্থীর কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা ও প্রীতিভোজ ।
এর আগে গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর ট্রাস্ট মিলনায়তনে মনোয়ার পাঠান সাজু মুনতাসির সমমনা ২৭ জনের চমক লাগানো ইশতেহার সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল ।

আজকের প্রধান অতিথি ছিলেন কিংবদন্তি নাট্যজন, টেলিভিশন মিডিয়ার অভিভাবক ও টেলিপ্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মামুনুর রশিদ । শারীরিক দুর্বলতা নিয়েও তিনি হাজির হয়েছিলেন তাঁর আত্মার মানুষদের কাছে । আরও উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আহমেদ, ইবনে হাসান খান, খোরশেদ আলম খসরু, তানিয়া আহমেদ, অরুণা বিশ্বাস, দেওয়ান হাবিব, রিচি সোলায়মান, আজিজুল হাকিম, এস এ হক অলিক, অনন্ত হীরা, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক রিয়াজুল রিজুসহ শোবিজ জগতের বহু পরিচিত মুখ। আয়োজনে ২৩ মিনিটের একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে নির্বাচনে সাজু মনোয়ার সমমনা ২৭ জনের কর্মজীবন এবং তাদের নির্বাচনী ভাবনা তুলে ধরা হয়। ব্যতিক্রমী এই উপস্থাপনা উপস্থিত ২৫০ এর অধিক প্রযোজক এবং অতিথিকে মুগ্ধ করে। ২৩৯ জন মোট ভোটারের ১৭০ জনের বেশি এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর নাট্যজন মামুনুর রশিদের অনুরোধে আমি না আমরা সমমনাদের নির্বাচনী ইশতেহারের ৭ মিনিটের ভিডিও পরিবেশনাটা আবারও প্রদর্শন করা হয় যা গত ১৩ মার্চ ট্রাস্ট মিলনায়তনে প্রথম দেখানো হয়েছিল। উপস্থিত ভোটার এবং অতিথিরা এই পরিবেশনায় উচ্ছসিত প্রশংসা করেন।

মামুনুর রশিদ বলেন, আপনাদের সবার ভালবাসায় আমি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবার লোভ সামলাতে পারিনি। টেলিপ্যাব প্রতিষ্ঠার শুরুতে যারা কর্ণধার ছিলেন তাদের ৯৫ শতাংশই এই ২৭ জনের পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে প্রমান করেছেন আগামির টেলিপ্যাব মনোয়ার পাঠান সাজু মুনতাসিরের হাতেই নিরাপদ।

মাহাফুজ আহমেদ বলেন, আজ যে বা যারা টেলিপ্যাবের সরকারি রেজিস্ট্রেশানের ক্রেডিট নিয়ে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন তাদের জন্য আমি বলছি, আমি মাহফুজ আহমেদ সাক্ষী দিচ্ছি এই অর্জন এসেছে মামুনুর রশিদের কল্যাণে এবং তখনকার শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সহযোগিতায়। যেদিন সকালে সেই ঘটনাটি তোফায়েল ভাইয়ের বাসাতে ঘটেছিল সেদিন আমি মামুন ভাইয়ের সাথে উপস্থিত ছিলাম। আমাদের সকলের সেই গুরু আজ বলেছেন নির্বাচনে সাজু মনোয়ার ভাইকে সহ সমমনা ২৭ জনকে জয়ী করতে হবে, তখন তার কথা আমাদের রাখতে হবে, নতুবা গুরুকে অসম্মান করা হবে।

অনন্তহীরা বলেন, আজকের আয়োজনে যেদিকে তাকাচ্ছি সেদিকেই আমার সব প্রিয় মুখ। আজকের উপস্থিতিই বলে দেয় মনোয়ার ভাই এবং সাজুকে আমাদের প্রয়োজন।

মনোয়ার পাঠান বলেন, আমরা আকাশকুসুম কল্পনার ইশতেহার দিইনি। যা দিয়েছি তার চেয়ে বেশি করতে পারবো সেই বিশ্বাস থেকেই দিয়েছি। আমরা চাইলেই একটি টিভি চ্যনেল করতে পারবো না দুই বছরে, এবং সেই মিথ্যা আশ্বাসও তাই দিবো না।

সাজু মুনতাসির বলেন, আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা জয়ী হলে টেলিপ্যাবে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। প্রত্যেকজন সদস্যই হবেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক।

অনুষ্ঠানের শেষ আয়োজন ছিল নৈশভোজ। সকলের উচ্ছসিত মুখ বলে দিচ্ছিল নির্বাচনে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন মনোয়ার পাঠান এবং সাজু মুনতাসির সমমনা ২৭ জন।






