শুরুটা মোটেই মসৃণ ছিলো না। নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে আজকের ঢালিউড কিং শাকিব খান। এখনও প্রতি উৎসবে তার নামেই বাজি ধরেন ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকা প্রযোজক-পরিবেশন আর হল মালিকরা। কারণ, গত এক যুগের ঢালিউডে তিনিই একমাত্র ভরসা।
২৩ বছর আগের এই দিনটিকে ভুলে যাননি শাকিব খান। তাই তো দূর আমেরিকায় বসেও স্মৃতিকাতর এই নায়ক-প্রযোজক। শাকিব খান বলেন, ‘শুরুতে জানতাম না আমার ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে। প্রথমদিকে আমার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো খুব বেশি সাফল্য পায়নি, তারপরও হাল ছাড়িনি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি, ব্যর্থতাকে সাফল্যের মতো প্রাধান্য দিয়েছি।’

শাকিব খানের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে চোখ রাখলে তার এই কথার সত্যতা মেলে। তিনি হাল ছাড়েননি শত প্রতিকূলতার মধ্যেও। বরং নানা মাত্রায় নিজেকে অতিক্রম করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যেমনটা জারি রেখেছেন এখনও। আমেরিকায় বসেও ঢালিউডের ঈদের বাজার যার দখলে থাকে। সেখানে বসেও তিনি দিন-রাত নতুন সিনেমার ছক এঁকে যাচ্ছেন। এরমধ্যে মার্কিন নায়িকা কোর্টনি কফিকে নিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন ‘রাজকুমার’ নির্মাণের। আর ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বটা তুলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নির্মাতা হিমেল আশরাফের কাঁধে।

২৩তম অভিষেক দিনে এসে শাকিব খান নিজেও জানান তার এই অদম্য চেষ্টার কথা। বলেন, ‘আমি সবসময় কঠোর পরিশ্রম, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও সততায় বিশ্বাসী। হয়তো এ কারণেই আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমি আনন্দিত এই ভেবে যে, আমার কাজের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদিত করতে পেরেছি এবং তাদের খুশি করতে পেরেছি।’

শাকিব কৃতজ্ঞতা জানান তার ক্যারিয়ারের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি। বলেন, ‘অভিনয়জীবনে আজ পর্যন্ত যেসব পরিচালক, প্রযোজক, সহশিল্পী এবং ক্যামেরার পেছনে থাকা কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করেছি সবাইকে ধন্যবাদ। আমার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে তাদের অবদান অসামান্য!’

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি ভক্তদের কথাও। বললেন, ‘আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ; যারা আমার সকল শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস। তারা আমাকে এতোগুলো বছর ভালবাসা এবং সম্মান দিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবারের কাছেও কৃতজ্ঞ, তাদের চিরস্থায়ী সমর্থনের জন্য। সবার জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।’ গত ২৩ বছরে শাকিব খান অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াইশ’ ছবিতে।
