করোনা পজিটিভ হওয়ার পর যেসব জটিলতা ছিল, আপাতত তা নেই। কিডনির সমস্যাও এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তাই লালনসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন নয় দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে বাসায় ফিরেছেন । অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে বাসায় নেওয়ার অনুমতি দেন।
করোনা পজিটিভ হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাঁকে ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিন দিনের মাথায় করোনার উপসর্গ কমা শুরু হলেও কিডনি জটিলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল শিল্পীর পরিবার। অবশেষে সবকিছুর উন্নতি শেষে আজ বাসায় ফেরার অনুমতি পান ফরিদা পারভীন। এর মাঝেই তাঁর অবস্থার বেশ অবনতি বলে বিভিন্নভাবে খবর ছড়িয়ে পড়লে সংস্কৃতি মহলে উদ্বেগ দেখা দেয়। করোনা এরই মধ্যে এই অঙ্গণের অনেক তারকার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ খবর হলো এখন তিনি ভালোই আছেন। খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক। করোনার কোনো ধরনের উপসর্গ নেই। তবে এখনো করোনা ফলাফল নেগেটিভ কি না, তা জানা যায়নি।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন। পরে ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।