বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা অরুণা বিশ্বাস। ১৯৬৭ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও কঠোর লকডাউনের কারণে ঘরোয়া ভাবেই কাটছে এই অভিনেত্রীর এবারের জন্মদিন।
জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই জনপ্রিয় এই নায়িকার। অরুণা বিশ্বাস জানান, বছরের অন্যান্য সাধারণ দিনের মতো করেই কাটছে এবারের জন্মদিন। বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
১৯৮৩ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবস্থিত ভারতেশ্বরী হোমস থেকে এসএসসি পাস করেন অরুণা বিশ্বাস। এরপর ঢাকার বদরুন্নেসা কলেজ থেকে এইচএসসি ও ইডেন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। পরবর্তীতে কানাডায় প্রবাস জীবনে অক্সফোর্ড কলেজ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস টেকনোলজির ওপর ডিপ্লোমা করেন তিনি।
১৯৮৬ সালে নায়ক রাজ রাজ্জাক প্রযোজিত-পরিচালিত ‘চাঁপা ডাঙ্গার বউ’ সিনেমার মাধ্যমে অরুণার ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর আগের বছর বিটিভির নিজস্ব নাটক ‘এখানে জীবন’-এ অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে ‘বহুবচন’ নামক মঞ্চ নাটকের দলের হয়ে মঞ্চাভিনয় করেছেন তিনি।
অরুণা বিশ্বাস অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘পরশ পাথর’, ‘দুর্নাম’, ‘সম্মান’, ‘কৈফিয়ত’, ‘মায়ের কান্না’’, ‘গণ-আন্দোলন’ ইত্যাদি। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’।
শতাধিক সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিনয় করা গুণী অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অরুণা বিশ্বাস অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় আছে এম রাহিম পরিচালিত ‘শান’ সিনেমাটি। নভেম্বরে শুরু করবেন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অরুণা বিশ্বাসের প্রযোজনা ও পরিচালনায় নির্মিতব্য ‘অসম্ভব’ সিনেমাটি।
অরুণা বিশ্বাসের আদি পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের ছোট কুমিরায়। তার বাবা-মা দুজনেই অভিনয়ে একুশে পদক পাওয়া অভিনয় ব্যক্তিত্ব। তিনি অভিনয়ের বাইরে একজন নৃত্যশিল্পী এবং নাচে তিনি গোল্ড মেডেলিস্ট। তার নতুন নিবাস মানিকগঞ্জের জাবরা গ্রামে। সেখানে তার বাবারগড়া চারণিক নাট্য গোষ্ঠীর কার্যালয়।