একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলা নাটক ও সিনেমার কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক আবুল হায়াত আজ ৭৭ বছর পূর্ণ করে ৭৮ ’এ পা রাখছেন। সেই ১৯৬৯ সালে ‘ইডিপাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিষেকের পর আজ অবধি তার জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি।
বাংলাদেশের এই খ্যাতিমান অভিনেতা ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহন করেন। স্কুল জীবন কাটে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ও রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মেটৃকুলেশন (বর্তমান এসএসসি) পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ১৯৬২ সালে বুয়েটে ভর্তি হন।
১৯৬৭ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে পরের বছর ওয়াসার প্রকৌশলী পদে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে মেজ বোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেন আবুল হায়াত। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে পৃথিবীতে আসে তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াত। বিপাশা নিজেও দেশের অন্যতম খ্যতিমান অভিনেত্রী-পরিচালক। আরেক বোন নাতাশা বিপাশার চেয়ে ৬ বছরের ছোট। টিভি নাটক, সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপনে আবুল হায়াতের জুড়ি মেলা ভার। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এখনও নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন।
১৯৯৫ সালে হুমায়ুন আহমেদের ‘ আগুনের পরশমনি’ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেন তিনি। যে চলচ্চিত্রটি ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। এছাড়া ‘জয়যাত্রা’, ‘ দারুচিনি দ্বীপ’, ‘ থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ ছবিগুলোতে অভিনয় করেছেন তিনি।